যশোরের মণিরামপুরের পল্লীতে খাদ্য অধিদপ্তরের সীলযুক্ত দুই ট্রাক ভর্তি এক হাজার ৩১৭ বস্তা চাল ব্যক্তিগত গুদামে নামানোর ঘটনায় তুমুল হৈচৈ শুরু হয়েছে। উপজেলার বাঁধাঘাটা মোড়ের ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের মালিক মতিয়ার রহমান ও রাসেল হোসেন এই ঘটনায় জড়িত। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মেসার্স হাওলাদার ট্রেডার্সের মালিক আব্দুল হালিম হাওলাদারের কাছ থেকে ওই চাল কিনেছেন বলে পুলিশ ও এসিল্যান্ডকে জানানো হয়েছে।

তবে, সরকারি বস্তায় চাল আনায় ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই চাল ভাঙা এলাকায় দুর্গোৎসবের জন্য সরকারি বরাদ্দ ছিল।

স্থানীয় সূত্রে তথ্য মিলেছে, মণিরামপুর উপজেলার বাঁধাঘাটা মোড়ের ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের মালিক মতিয়ার রহমান ও রাসেল হোসেন তাদের ব্যক্তিগত গোপন গুদামে খাদ্য অধিদপ্তরের সরকারি সিলমোহরযুক্ত বিপুল পরিমাণ চাল আনলোড করছে সংবাদে পুলিশে একটি টিম অভিযান চালায়। এরপর স্থানীয়দের খবরে সেখানে যান এসিল্যান্ড আলী হাসান। সরকারি সিলমোহরযুক্ত বস্তার দেড় হাজারের মত বস্তা চাল দেখে সন্দিহান হয়ে পড়েন তিনি। এসময় ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের মালিক মতিয়ার রহমান ও রাসেল হোসেন এসিল্যান্ডকে জানান, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মেসার্স হাওলাদার ট্রেডার্সের মালিক আব্দুল হালিম হাওলাদারের কাছ থেকে গত ২৭ অক্টোবর ৪৭ মেট্রিকটন চাল কিনেছিলেন। চালগুলো দূর্গাপূজা উপলক্ষে ওই এলাকার বিভিন্ন মন্ডপে সরকার বরাদ্দ দিয়েছিল। রাসেল হোসেন ওই চাল কিনে সরকারি বস্তায় এনে অপরাধ করেছেন। এ কারণে ভোক্তা অধিকার আইনে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী হোসেন জানান, ভাই ভাই রাইস মিলের লাইসেন্স নবায়ন, ভ্যাট পরিশোধ না থাকায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় ও বস্তার গায়ে খাদ্য অধিদপ্তরের মোড়ক লাগানো থাকায় তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দুই ট্রাক ভর্তি চাল ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের মালিক রাসেল হোসেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কিনেছেন এমন চালান রশিদও পাওয়া গেছে।

মণিরামপুর খাদ্য গুদামের ওসি এল এস ডি মেহেদী হাসান শাকিল জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। সহকারী কমিশনার ভূমি স্যারের মোবাইল পেয়ে বাঁধাঘাটা মোড়ে যান। তবে মালগুলো পূজা উপলক্ষে বরাদ্দকৃত ত্রানের মাল এবং খাদ্য অধিদপ্তরের মোড়ক লাগানো রয়েছে।